Rabies vaccine নিতে হবে কি?
আমার হাতে কিছুদিন আগে মজা করতে গিয়ে বিড়াল এর কামড় লাগে। তারও আগে কয়েক বার আচর লেগেছিল। সামন্য একটু রক্ত বের হয়েছিল হালকা সবান পানি দিয়ে ধুয়েছিলাম। এ প্রযন্ত অনেক বারই আচর লাগছে কিন্তু আমি এখনো ভ্যাকসিন দেয়নি আমার কি করা উচিত?
আপনার উল্লেখিত অবস্থার ভিত্তিতে, বিড়ালের কামড় বা আচর থেকে র্যাবিস সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকতে পারে, কারণ বিড়ালসহ অনেক স্তন্যপায়ী প্রাণী র্যাবিস ভাইরাসের বাহক হতে পারে। যদিও বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে র্যাবিসের ঝুঁকি সবসময় বেশি থাকে না, তারপরও আপনার সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
আপনার এখন কী করা উচিত?
ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন:
যেহেতু বিড়াল আপনার হাতে কামড় দিয়েছে এবং এর আগে বেশ কয়েকবার আঁচড় লেগেছে, দ্রুত কোনো ডাক্তার বা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার আপনার আঘাতের ধরন দেখে সিদ্ধান্ত দেবেন যে, র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি কিনা।
র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া:
কামড় বা আঁচড়ের পরে র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। ডাক্তার আপনার ঝুঁকির উপর ভিত্তি করে পোস্ট-এক্সপোজার প্রোফিল্যাক্সিস (PEP) হিসাবে র্যাবিস ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন।
সাধারণত, বিড়ালের কামড় বা আঁচড়ের পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভ্যাকসিন নেওয়া সেরা পদ্ধতি।
আঘাতের সঠিক যত্ন:
আপনার হাতের আঘাতটি সাবান এবং পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করা ছিল একটি ভালো পদক্ষেপ। তবে যদি আঘাতটি এখনও নিরাময় না হয় বা সংক্রমণের কোনো লক্ষণ দেখা দেয় (যেমন লালচে ভাব, ফোলা বা ব্যথা), তাহলে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
র্যাবিসের লক্ষণ এবং সময়ের গুরুত্ব:
র্যাবিস ভাইরাস ধীরে ধীরে স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে এবং একবার উপসর্গ দেখা দিলে এটি প্রায় সবসময়ই প্রাণঘাতী হয়। তাই আপনার আগের আঘাতগুলোর পরও যদি কোনো র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া না হয়ে থাকে, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার:
যেহেতু বিড়ালের কামড় এবং আঁচড় আপনার শরীরে হয়েছে এবং আপনি এখনও কোনো র্যাবিস ভ্যাকসিন নেননি, অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত। ডাক্তার আপনার আঘাতের ধরন এবং ঝুঁকি বিবেচনা করে আপনাকে সঠিক পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবেন, যা সাধারণত র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারে।
Rabies vaccine নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি একটি র্যাবিস-প্রবণ এলাকার কাছাকাছি বাস করেন বা র্যাবিস-ঝুঁকিপূর্ণ প্রাণী, যেমন কুকুর, বিড়াল, বা বন্য প্রাণীর সংস্পর্শে আসেন। র্যাবিস (Rabies) একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক রোগ, যা সাধারণত আক্রান্ত প্রাণীর কামড়, চুলকানি বা আঁচড় থেকে মানুষের মধ্যে ছড়ায়। এই ভাইরাসটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে এবং যদি সময়মতো চিকিৎসা না হয়, তবে এটি প্রায় সবসময়ই প্রাণঘাতী হয়।
কবে র্যাবিস ভ্যাকসিন নিতে হবে?
প্রাক-সংস্পর্শ প্রতিরোধ (Pre-exposure prophylaxis):
যাদের র্যাবিসের সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা বেশি, যেমন পশুচিকিৎসক, প্রাণী গবেষক, বা বন্যপ্রাণী পরিচালনাকারী কর্মী, তাদের প্রাক-সংস্পর্শ প্রতিরোধমূলক র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। এটি তাদের র্যাবিস সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
পোস্ট-এক্সপোজার প্রফিল্যাক্সিস (Post-exposure prophylaxis):
যদি কোনো প্রাণী আপনাকে কামড়ায় বা আঁচড়ায়, এবং সেই প্রাণীটি র্যাবিস আক্রান্ত হতে পারে, তাহলে দ্রুত র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া অপরিহার্য। চিকিৎসা যত তাড়াতাড়ি শুরু করা হবে, ততই ভালো।
কামড় বা আঁচড়ের পর যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে এবং চিকিৎসক পরিস্থিতি অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দেবেন।
কেন র্যাবিস ভ্যাকসিন গুরুত্বপূর্ণ?
প্রাণঘাতী রোগ: র্যাবিস আক্রান্ত হলে যদি উপসর্গ দেখা দেয়, তবে এটি প্রায় সবসময়ই মারাত্মক হয়। তাই, কামড়ানোর পর যথাসময়ে ভ্যাকসিন নেওয়া জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিরোধযোগ্য রোগ: র্যাবিস সম্পূর্ণরূপে প্রতিরোধযোগ্য যদি সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। ভ্যাকসিন নেওয়া হলে সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হয়।
উপসংহার:
যদি আপনার র্যাবিসের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকে, যেমন কোনো পশুর কামড়ের পরে, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী র্যাবিস ভ্যাকসিন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।