বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সজীব ওয়াজেদের ভূমিকা কী?

0

বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সজীব ওয়াজেদের ভূমিকা কী?

ফয়সাল কবীর প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন 6 দিন পূর্বে
0

সজীব ওয়াজেদ বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে একজন অগ্রগামী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব, যিনি দেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে তিনি দেশের ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

নিচে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সজীব ওয়াজেদের ভূমিকা বিশদভাবে আলোচনা করা হলো:

১. ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন:
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ঘোষণা দেয়, সজীব ওয়াজেদ সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে মূল নেতৃত্ব দেন। তার উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজিটাল সেবার প্রসারে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

উদাহরণ: তিনি ডিজিটাল প্রযুক্তি, ই-গভর্নেন্স, এবং আইসিটি অবকাঠামো তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের গ্রাম থেকে শুরু করে শহর পর্যন্ত তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ পৌঁছে দিয়েছে।
২. ই-গভর্নেন্স ও ডিজিটাল সেবা:
সজীব ওয়াজেদের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে ই-গভর্নেন্স বা ইলেকট্রনিক প্রশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে, যা জনগণের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ, দ্রুত এবং স্বচ্ছ করেছে।

উদাহরণ: বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা, যেমন জন্মনিবন্ধন, ভূমি নিবন্ধন, এবং অন্যান্য তথ্যসেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসা হয়েছে।
৩. আইসিটি পলিসি ও অবকাঠামো উন্নয়ন:
সজীব ওয়াজেদ আইসিটি (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) খাতের নীতি ও কৌশল প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা, ইন্টারনেটের প্রসার এবং বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে।

উদাহরণ: তিনি ২০২১ সালের মধ্যে সকলের জন্য ইন্টারনেট ও ব্যান্ডউইথ সহজলভ্য করার পরিকল্পনা করেন, যা দেশের তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামোকে শক্তিশালী করেছে।
৪. আইসিটি ডিভিশন ও হাইটেক পার্কের উন্নয়ন:
সজীব ওয়াজেদ হাইটেক পার্ক এবং আইসিটি ডিভিশন প্রতিষ্ঠার জন্য অগ্রগণ্য ছিলেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাইটেক পার্ক তৈরি করা হয়েছে, যেখানে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আইটি খাতে কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

উদাহরণ: বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি বিভিন্ন জেলায় হাইটেক পার্ক গড়ে তুলেছে, যেখানে দেশের যুবকরা আইটি উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পাচ্ছে।
৫. ফ্রিল্যান্সিং ও আইটি প্রশিক্ষণ:
সজীব ওয়াজেদের নেতৃত্বে দেশের তরুণদের জন্য আইটি প্রশিক্ষণ এবং ফ্রিল্যান্সিং খাতকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এর ফলে হাজার হাজার যুবক ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে এবং বেকারত্ব কমাতে সাহায্য করছে।

উদাহরণ: ফ্রিল্যান্সারদের প্রশিক্ষণ দিতে সরকারী উদ্যোগে বিভিন্ন আইটি ট্রেনিং সেন্টার এবং ইউথ স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচি চালু করা হয়েছে।
৬. উদ্ভাবনী ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন:
সজীব ওয়াজেদ দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ এবং নতুন উদ্যোক্তাদের বিকাশে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি স্টার্টআপ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে এবং তরুণদের মধ্যে উদ্যোক্তা উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি চালু করেন।

উদাহরণ: স্টার্টআপ বাংলাদেশ কর্মসূচি, যা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা ও অর্থায়ন প্রদান করে।
৭. সাইবার নিরাপত্তা ও ডেটা প্রাইভেসি:
সজীব ওয়াজেদ দেশের সাইবার নিরাপত্তা এবং ডেটা প্রাইভেসি বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন। তার উদ্যোগে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে বিশেষ আইন প্রণয়ন এবং সচেতনতা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।

উদাহরণ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ এবং ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
সারসংক্ষেপ:
বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সজীব ওয়াজেদ একজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী। তাঁর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, যা তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার, ই-গভর্নেন্সের উন্নয়ন, এবং তরুণদের আইটি খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হয়েছে। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে, উদ্যোক্তা বিকাশে এবং জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

ফয়সাল কবীর প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন 6 দিন পূর্বে

বিভাগসমূহ