Archives

বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতি কী?

বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়। এই সংবিধানে রাষ্ট্রের পরিচালনার জন্য চারটি মৌলিক নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা রাষ্ট্রের আদর্শ ও লক্ষ্যকে নির্দেশ করে। এই মূলনীতিগুলি হলো: জাতীয়তাবাদ গণতন্ত্র সমাজতন্ত্র ধর্মনিরপেক্ষতা ১. জাতীয়তাবাদ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ: সংবিধানে ‘জাতীয়তাবাদ’ বলতে দেশের সকল নাগরিকের মধ্যে একতা, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের ধারণাকে বোঝানো হয়েছে। ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের […]

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কমিউনিস্ট পার্টির অবদান কী?

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কমিউনিস্ট পার্টির (মূলত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি [সিপিআই] এবং পরবর্তীতে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি [মার্কসবাদী] বা সিপিআইএম) অবদান গভীর ও ব্যাপক। ১৯৭৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৩৪ বছর বামফ্রন্ট সরকারের নেতৃত্বে থেকে তারা রাজ্য পরিচালনা করেছে, যা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত কমিউনিস্ট শাসনের একটি উদাহরণ। ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠা প্রাথমিক বছর ও স্বাধীনতা পূর্বকাল […]

‘আনন্দমঠ’ উপন্যাসের পটভূমি কী?

‘আনন্দমঠ’ (১৮৮২) বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি প্রখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস। এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাসগুলির একটি, যা ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে। ঐতিহাসিক পটভূমি ১৭৭০ সালের বাংলার দুর্ভিক্ষ বঙ্গের দুর্ভিক্ষ: উপন্যাসের কাহিনী ১৭৭০ সালের ভয়াবহ ‘ছিয়াত্তরের মন্বন্তর’ বা দুর্ভিক্ষের প্রেক্ষাপটে আবর্তিত। এই দুর্ভিক্ষে বাংলার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রাণ হারায়। প্রভাব: খাদ্যের অভাব, রোগব্যাধি ও […]

বাংলা নববর্ষের ঐতিহ্য ও উদযাপন পদ্ধতি কী?

বাংলা নববর্ষ, যা পহেলা বৈশাখ নামে পরিচিত, বাংলার মানুষের জন্য একটি বিশেষ উৎসব। প্রতি বছর ১৪ই এপ্রিল (বাংলাদেশে) এবং ১৫ই এপ্রিল (ভারতে) এই দিনটি পালিত হয়। এটি বাংলা সনের প্রথম দিন এবং বাংলা সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। ঐতিহ্য ও ইতিহাস উৎপত্তি ও প্রেক্ষাপট মুঘল সম্রাট আকবরের সময়: বাংলা সনের উৎপত্তি মুঘল সম্রাট আকবরের […]

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসগুলোতে দেশপ্রেমের ধারণা কীভাবে প্রতিফলিত হয়েছে?

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান ঔপন্যাসিক ও সাহিত্যিক। তিনি আধুনিক বাংলা উপন্যাসের পথিকৃৎ এবং তাঁর রচনায় সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর গভীর চিত্রায়ণ করেছেন। বিশেষত, তাঁর উপন্যাসগুলিতে দেশপ্রেমের ধারণা প্রবলভাবে প্রতিফলিত হয়েছে, যা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা যুগিয়েছে। দেশপ্রেমের ধারণা প্রতিফলিত রচনাসমূহ ১. আনন্দমঠ বিষয়বস্তু: এই উপন্যাসটি ১৭৭০ সালের বাঙলার দুর্ভিক্ষ ও […]

লালন ফকিরের দর্শন ও সঙ্গীতের প্রভাব কী?

লালন সাঁই বা লালন ফকির (১৭৭৪ – ১৭ অক্টোবর ১৮৯০) ছিলেন বাংলার একজন প্রখ্যাত আধ্যাত্মিক সাধক, বাউল গানের অগ্রদূত এবং দার্শনিক। তিনি জাত-পাত, ধর্মীয় বিভেদ ও সামাজিক কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তাঁর গান ও দর্শনের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁর জীবন ও কর্ম বাংলার সংস্কৃতি, সমাজ ও সঙ্গীতে গভীর প্রভাব ফেলেছে। লালনের দর্শন ১. মানবতাবাদ ও সর্বধর্ম সমন্বয় […]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির কারণ কী ছিল?

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের অগ্রগণ্য কবি, সাহিত্যিক, দার্শনিক ও সঙ্গীতজ্ঞ। তিনি ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা এশিয়ার কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রথম। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির কারণ: ১. ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যগ্রন্থ: মূল রচনা: রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’ (১৯১০) বাংলা ভাষায় রচিত ১৫৭টি গান ও কবিতার সংকলন। ইংরেজি অনুবাদ: ১৯১২ সালে তিনি নিজেই ‘গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি […]

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি কোন কোন রচনায় পাওয়া যায়?

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক ও গল্পকার। তাঁর রচনায় নারীর সামাজিক অবস্থান, মানসিক জটিলতা ও সংগ্রামকে গভীরভাবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। তিনি নারীর অধিকার, স্বাধীনতা ও সমানাধিকারের পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন, যা তাঁর বিভিন্ন রচনায় প্রতিফলিত হয়েছে। নারীবাদী দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত রচনাসমূহ ১. চরিত্রহীন কাহিনী: এই উপন্যাসে সাবিত্রী নামক এক নারীর জীবনের মাধ্যমে সমাজের […]

নজরুল ইসলামের বিদ্রোহী কবিতার বিষয়বস্তু কী?

কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রভাবশালী কবি, যিনি “বিদ্রোহী কবি” নামে পরিচিত। তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’ (১৯২২) বাংলা সাহিত্যে এক অমর সৃষ্টি, যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রতীক এবং মানবমুক্তির আহ্বান। প্রধান বিষয়বস্তু ও থিম: ১. বিদ্রোহ ও বিপ্লবের আহ্বান: স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা: কবিতায় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশিত […]

ভারতের পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা কীভাবে পরিচালিত হয়?

ভারতের পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থা হল গ্রামীণ স্থানীয় স্বশাসন ব্যবস্থা, যা গণতান্ত্রিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে গ্রামের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে। এটি তিন-স্তরীয় প্রশাসনিক কাঠামো যা গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি (মন্ডল বা তালুক স্তর) এবং জেলা পরিষদ নিয়ে গঠিত। ১৯৯২ সালে ৭৩তম সংবিধান সংশোধনী আইনের মাধ্যমে পঞ্চায়েত রাজ ব্যবস্থাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। প্রধান স্তরসমূহ ও তাদের […]