Archives

জসীম উদ্দীনের ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ কবিতার মূল থিম কী?

জসীম উদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬), যিনি “পল্লীকবি” নামে পরিচিত, বাংলার গ্রামীণ জীবন ও সংস্কৃতির এক অনবদ্য চিত্রকর। তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ (১৯২৯) বাংলা সাহিত্যের একটি মাইলফলক, যা গ্রামীণ সমাজের প্রেম, বেদনা, সংস্কৃতি ও জীবনের গভীর চিত্রায়ণ করে। মূল থিম ও বিষয়বস্তু ১. প্রেম ও বেদনার কাহিনী: রূপাই ও সাজু: কবিতাটি মূলত রূপাই ও সাজু […]

‘পদ্মা নদীর মাঝি’ উপন্যাসে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দিয়েছেন?

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মা নদীর মাঝি’ বাংলা সাহিত্যের একটি অমর সৃষ্টি, যেখানে পদ্মা নদীর তীরবর্তী জেলেদের জীবন, সংগ্রাম এবং মানবিক অনুভূতির গভীর চিত্রায়ণ করা হয়েছে। উপন্যাসটি সমাজের প্রান্তিক মানুষের জীবনের বাস্তবতা ও তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরে। প্রধান বার্তা ও বিষয়বস্তু ১. জীবন সংগ্রাম ও দরিদ্রতার বাস্তবতা: দারিদ্র্যের করাল গ্রাস: উপন্যাসে কুবের ও তার পরিবারের মাধ্যমে দরিদ্র […]

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ কীভাবে মহাকাব্যিক রীতি অনুসরণ করেছে?

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদ বধ কাব্য’ (১৮৬১) বাংলা সাহিত্যের একটি প্রখ্যাত মহাকাব্য, যা রামায়ণের কাহিনীর উপর ভিত্তি করে রচিত। তবে, প্রচলিত ধারার বিপরীতে মধুসূদন এতে রাবণের পুত্র মেঘনাদকে নায়ক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। কাব্যটি মহাকাব্যিক রীতি অনুসরণ করে রচিত, যা বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। মহাকাব্যিক রীতি অনুসরণের উপায়সমূহ: ১. বিষয়বস্তু ও কাহিনীর গাম্ভীর্য: […]

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সেই সময়’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপট কী?

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘সেই সময়’ উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের বঙ্গদেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করে রচিত। উপন্যাসটি বাংলার নবজাগরণ বা রেনেসাঁস সময়ের এক বিস্তৃত চিত্র তুলে ধরে, যেখানে সমাজে চলমান পরিবর্তন, সংস্কার আন্দোলন এবং বুদ্ধিজীবীদের সংগ্রামকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। প্রেক্ষাপটের প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ বাংলার নবজাগরণ (বঙ্গীয় রেনেসাঁস): উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে বাংলায় যে জাগরণ […]

বাংলা সাহিত্যে হুমায়ূন আহমেদের অবদান কী?

হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ – ১৯ জুলাই ২০১২) বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী সাহিত্যিক, নাট্যকার, চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অধ্যাপক। তাঁর সৃজনশীলতা ও বহুমুখী প্রতিভা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে এবং সাধারণ পাঠকদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ জাগিয়ে তুলেছে। উপন্যাস ও গল্পের জগতে বিপ্লব সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষা: হুমায়ূন আহমেদ তাঁর লেখায় সহজ, সরল ও কথ্য […]

বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও বিকাশ কীভাবে হয়েছে?

বাংলা ভাষা একটি ইন্দো-আর্য ভাষা, যা প্রধানত দক্ষিণ এশিয়ার বাংলা অঞ্চল—বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ—এ প্রচলিত। এর উৎপত্তি ও বিকাশ একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার ফল, যা প্রাচীন ভাষা থেকে আধুনিক ভাষায় রূপান্তরের ধারাবাহিকতায় গঠিত। উৎপত্তি: ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবার: বাংলা ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা পরিবারের অন্তর্গত, যা প্রায় ৩৫০০ খ্রিষ্টপূর্বে উদ্ভূত হয়েছিল। এই ভাষা পরিবারের শাখা থেকে ইন্দো-আর্য […]

চণ্ডীদাসের কবিতায় মধ্যযুগের বাংলার ভাষার বৈশিষ্ট্য কী?

চণ্ডীদাসের কবিতায় মধ্যযুগের বাংলার ভাষার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়, যা বাংলা ভাষার ইতিহাস ও সাহিত্যিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ১. প্রাক-মধ্য বাংলা ভাষার ব্যবহার: চণ্ডীদাসের কবিতা প্রাক-মধ্য বাংলা ভাষায় রচিত, যা আধুনিক বাংলা ভাষার পূর্ববর্তী পর্যায়। এতে প্রাচীন ভাষাগত রীতিনীতি ও শব্দরূপ পাওয়া যায়। ২. তদ্ভব ও দেশজ শব্দের প্রাধান্য: তাঁর কবিতায় তৎসম […]

বাংলা ভাষায় সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য কী?

বাংলা ভাষায় সাধু ভাষা এবং চলিত ভাষা এই দুইটি রূপের মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে। এদের পার্থক্য মূলত ব্যাকরণ, শব্দ ব্যবহার এবং বাক্য গঠনে প্রকাশ পায়। ১. ক্রিয়া রূপ: সাধু ভাষা: ক্রিয়াপদের শেষে সাধারণত “-ইল”, “-ইলো” যোগ হয়। যেমন: করিলাম, গেলাম, খাইলাম। চলিত ভাষা: ক্রিয়াপদের শেষে “-লাম”, “-লো” যোগ হয়। যেমন: করলাম, গেলাম, খাইলাম। ২. […]

বাংলা লিপির বিবর্তন কীভাবে ঘটেছে?

বাংলা লিপির বিবর্তন একটি জটিল ও ইতিহাসের পটভূমিতে পরিপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা মূলত প্রাচীন ভারতীয় লিপি থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এই লিপির বিবর্তন প্রায় দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান। নিচে বাংলা লিপির বিবর্তনের প্রধান ধাপগুলো আলোচনা করা হলো: ১. প্রাচীন ভারতীয় লিপি ব্রাহ্মী লিপি: বাংলা লিপির ইতিহাস শুরু হয় ব্রাহ্মী লিপি থেকে। ব্রাহ্মী ছিল প্রাচীন […]

আধুনিক বাংলা ভাষার গঠন ও ব্যাকরণে মুদ্রণ প্রযুক্তির প্রভাব কী?

আধুনিক বাংলা ভাষার গঠন ও ব্যাকরণে মুদ্রণ প্রযুক্তির প্রভাব ব্যাপক ও গভীর। মুদ্রণ প্রযুক্তি বিকাশের ফলে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে নতুন এক দিগন্তে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। এখানে মুদ্রণ প্রযুক্তির কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব উল্লেখ করা হলো: ১. শিক্ষা ও প্রচারের প্রসার পাঠ্যপুস্তক ও গবেষণা: মুদ্রণ প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলা ভাষায় প্রচুর পাঠ্যপুস্তক, গবেষণা, ও বৈজ্ঞানিক লেখা […]